ভলিবল ম্যাচের শিষ্টাচার: এই বিষয়গুলি না জানলে আপনারই ক্ষতি

webmaster

배구 경기 관람 매너 - **Prompt:** A vibrant and diverse crowd of spectators enthusiastically cheering at a professional in...

আহা, শীতকালীন উষ্ণতার মাঝে বা গ্রীষ্মের তাপদাহে ভলিবল খেলার উন্মাদনা তো দারুণ! স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে প্রিয় দলের প্রতিটি স্পাইক, প্রতিটি ডিফেন্স উপভোগ করার যে আনন্দ, তা এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। আমিও তো অনেক ম্যাচ দেখতে যাই, আর খেলার সেই টানটান উত্তেজনা আমাকে ভীষণ টানে। তবে একটা জিনিস আমি সব সময় খেয়াল করি, আমরা দর্শকরা যদি একটু সচেতন থাকি, তাহলে খেলা দেখার অভিজ্ঞতাটা আরও দারুণ হয়ে ওঠে। কখনও কখনও দেখি, আমাদের ছোট ছোট ভুলের কারণে খেলোয়াড়দের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে, আর অন্য দর্শকদেরও বিরক্তি বাড়ে।আসলে খেলার মাঠ শুধু খেলোয়াড়দের জন্যই নয়, আমাদের মতো দর্শকদের জন্যও একটা পবিত্র জায়গা। আমরা যদি সঠিক শিষ্টাচার মেনে চলি, তাহলে স্টেডিয়ামের পরিবেশটা আরও প্রাণবন্ত হয়, খেলোয়াড়রাও ভালো খেলতে উৎসাহিত হন। ব্যক্তিগতভাবে, আমি যখন মাঠে যাই, চেষ্টা করি কিছু নিয়ম মেনে চলতে, যাতে আমার মাধ্যমে কারোরই কোনো অসুবিধা না হয়। ভেবেছিলাম, আমার এই অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের সাথেও শেয়ার করি। কারণ, আপনার ছোট্ট একটি ভদ্রতা পুরো ম্যাচের মেজাজটাই বদলে দিতে পারে!

আপনিও কি চান, ভলিবল ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা আরও আনন্দময় হোক? গ্যালারিতে বসে কীভাবে খেলার মজা দ্বিগুণ করবেন, আর একই সাথে অন্য দর্শক ও খেলোয়াড়দের প্রতি সম্মান দেখাবেন, চলুন আজ সেই বিষয়ে কিছু দারুণ টিপস জেনে নিই। নিচে দেওয়া এই পোস্টেই বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

গ্যালারিতে আপনার উপস্থিতি যেন উৎসবের অংশ হয়

배구 경기 관람 매너 - **Prompt:** A vibrant and diverse crowd of spectators enthusiastically cheering at a professional in...

আহা, ভলিবল ম্যাচ দেখতে আসাটা তো শুধু একটা খেলা দেখা নয়, এটা যেন এক উৎসবের অংশ হওয়া! আমি যখনই স্টেডিয়ামের দিকে পা বাড়াই, বুকের ভেতর একটা অন্যরকম উত্তেজনা অনুভব করি। মনে হয় যেন কোন এক বড় আয়োজনে যাচ্ছি, যেখানে সবাই মিলে একজোট হয়ে আনন্দ করব। কিন্তু এই আনন্দকে পূর্ণতা দিতে হলে আমাদেরও কিছু দায়িত্ব থাকে, তাই না?

যেমন ধরুন, আপনার বসার জায়গাটা, বা আপনি কীভাবে খেলা শুরুর আগে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এগুলো কিন্তু পুরো ম্যাচের মেজাজটাই নির্ধারণ করে দেয়। আমি দেখেছি, অনেকে হুট করে এসে যে কোনো জায়গায় বসে পড়েন, তারপর হয়তো অন্যদের অসুবিধা হয়। ব্যক্তিগতভাবে, আমি সব সময় চেষ্টা করি একটু আগে পৌঁছাতে, যাতে নিজের সিটে আরাম করে বসতে পারি এবং আশেপাশের পরিবেশটা একটু বুঝে নিতে পারি। এর ফলে খেলার শুরু থেকেই মনটা শান্ত থাকে এবং প্রতিটি পয়েন্টের জন্য সঠিকভাবে চিয়ার করতে পারি। আপনার ছোটখাটো প্রস্তুতি আপনার এবং আপনার পাশে থাকা সকলের জন্য একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। মনে রাখবেন, আপনার উপস্থিতি যেন শুধু এক দর্শক হিসেবে না হয়, বরং এই ক্রীড়াযজ্ঞের একজন সক্রিয় ও আনন্দময় অংশীদার হিসেবে হয়। একটা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হলে খেলোয়াড়রাও উৎসাহ পান এবং খেলাটা আরও জমজমাট হয়। তাই আসুন, এই উৎসবের অংশ হওয়ার জন্য আমরা সবাই মিলে একটু সচেতন হই।

খেলার আগে প্রস্তুতি: আপনার সিট নির্বাচন এবং পরিবেশ বোঝা

খেলা দেখতে গেলে সবার আগে যে বিষয়টা আমি খেয়াল রাখি, তা হলো আমার বসার জায়গা। টিকিট কাটার সময়ই চেষ্টা করি এমন একটা সিট নিতে, যেখান থেকে খেলার মাঠের ভালো ভিউ পাওয়া যায় এবং আশেপাশের পরিবেশটাও আরামদায়ক মনে হয়। মাঠে পৌঁছানোর পর, নিজের সিটে বসার আগে একবার আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নিই। দেখি আমার পাশে কে বসেছেন, বা সামনের সিটে কারা আছেন। এর ফলে ম্যাচের শুরু থেকেই একটা ধারণা থাকে যে, কার সাথে কেমন আচরণ করলে একটা ভালো পরিবেশ বজায় থাকবে। যেমন ধরুন, যদি আপনার পাশে ছোট বাচ্চা নিয়ে কেউ বসেন, তাহলে হয়তো আপনাকে তাদের প্রতি একটু বেশি সহানুভূতিশীল হতে হবে। আর যদি দেখেন আপনার আশেপাশে এমন কিছু লোক বসেছেন যারা উচ্চস্বরে কথা বলছেন বা অন্যদের বিরক্ত করছেন, তখন আপনি নিজেই একটু দূরত্ব বজায় রাখতে পারবেন। এই ছোটখাটো প্রস্তুতিগুলো কিন্তু আপনার পুরো খেলার অভিজ্ঞতাকে অনেক সুন্দর করে তোলে। আমি তো মনে করি, খেলা শুরু হওয়ার অন্তত ১৫-২০ মিনিট আগে পৌঁছানো উচিত, যাতে তাড়াহুড়ো না থাকে এবং আপনি আরাম করে নিজের জায়গায় বসতে পারেন।

উল্লাস করুন, কিন্তু বাড়াবাড়ি নয়: সীমার মধ্যে আনন্দ প্রকাশ

ভলিবল খেলার সময় প্রতিটি পয়েন্টে বা দারুণ একটি সেভে আমাদের আবেগ প্রকাশ করাটা খুবই স্বাভাবিক। আমিও তো গোল বা স্পাইক দেখে লাফিয়ে উঠি! তবে এই উল্লাস প্রকাশ করার একটা সীমা থাকা উচিত। কখনও কখনও দেখি, কিছু দর্শক এমনভাবে চিৎকার করেন বা হাততালি দেন যে আশেপাশের দর্শকদের কানে লাগে বা বিরক্তি তৈরি হয়। খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেওয়াটা জরুরি, কিন্তু সেটা যেন অন্যের মনোযোগে ব্যাঘাত না ঘটায়। বিশেষ করে, যখন খেলাটা খুব টাইট থাকে বা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট চলছে, তখন খেলোয়াড়দেরও মনোযোগের প্রয়োজন হয়। ওই মুহূর্তে অতিরিক্ত উচ্চস্বরে চেঁচামেচি বা বাঁশি বাজানোটা খেলোয়াড়দের জন্যেও ক্ষতিকারক হতে পারে। আমি সব সময় চেষ্টা করি, আমার আনন্দটা যেন একটা নিয়ন্ত্রিত উপায়ে প্রকাশ পায়। হাততালি দিই, চিৎকার করি, কিন্তু সেটা যেন এমন হয় যে আমার পাশের জনও আমার সাথে স্বাচ্ছন্দ্যে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার উল্লাস অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমেই এর প্রকৃত সৌন্দর্য প্রকাশ পায়, কাউকে বিরক্ত করার মাধ্যমে নয়।

খেলোয়াড়দের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, তাদের সেরা পারফরম্যান্সের ভিত্তি

Advertisement

খেলোয়াড়রা মাঠে আসেন তাদের সেরাটা দিতে, আর আমাদের সমর্থনই তাদের সেই শক্তি জোগায়। আমি যখন গ্যালারিতে বসি, আমার চোখ সব সময় খেলোয়াড়দের দিকেই থাকে। তাদের প্রতিটি নড়াচড়া, প্রতিটি অভিব্যক্তি আমি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করি। আর এই সময়টাতেই আমি বুঝতে পারি, আমাদের একটা ভুল মন্তব্য বা ভুল আচরণ তাদের মনঃসংযোগে কতটা ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। সত্যি বলতে কি, খেলোয়াড়রা যখন চাপের মধ্যে থাকেন, তখন আমাদের নেতিবাচক কথা তাদের আত্মবিশ্বাস ভেঙে দিতে পারে। আমার মনে আছে, একবার একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আমাদের দলের একজন খেলোয়াড় একটা সহজ পয়েন্ট মিস করেছিলেন। গ্যালারি থেকে অনেকেই তার উদ্দেশ্যে বাজে কথা বলা শুরু করেছিলেন। আমি তখন অবাক হয়ে দেখেছিলাম, কীভাবে একজন খেলোয়াড়ের মুখ মলিন হয়ে গেল এবং তার পরবর্তী পারফরম্যান্সেও এর প্রভাব পড়লো। ওই দিন আমি উপলব্ধি করেছিলাম, আমাদের ইতিবাচক সমর্থন কতটা জরুরি। খেলোয়াড়রা শুধু আমাদের বিনোদনের জন্য মাঠে আসেন না, তারা আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, আমাদের স্বপ্নগুলোকে বহন করেন। তাই তাদের প্রতি আমাদের সম্মান দেখানোটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের প্রতিটি চিয়ার, প্রতিটি হাততালি যেন তাদের আরও ভালো খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করে, তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে। একটা ভালো পরিবেশ পেলে একজন খেলোয়াড় তার নিজের সেরাটা দিতে পারেন, আর সেটা দেখতে পাওয়াটা আমাদের জন্যও দারুণ আনন্দের।

মনোযোগ ব্যাঘাত না ঘটানো: কখন চুপ থাকবেন, কখন উৎসাহিত করবেন

ভলিবল একটি গতিময় খেলা, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে খেলোয়াড়দের উচ্চ মনোযোগের প্রয়োজন হয়। যখন একটি সার্ভিস হয়, বা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পাইক আসে, তখন খেলোয়াড়রা নিজেদের সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে থাকেন। আমি দেখেছি, এই সময়টায় কিছু দর্শক হুট করে চিৎকার করে ওঠেন বা এমন কিছু শব্দ করেন যা খেলোয়াড়দের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যখন খেলাটা খুব টানটান হয়, তখন একদম পিন-ড্রপ সাইলেন্স থাকা উচিত, বিশেষ করে যখন কোনো খেলোয়াড় সার্ভিস দিতে যান। একবার এক ম্যাচে দেখলাম, একজন খেলোয়াড় সার্ভিসের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন, আর পেছন থেকে একজন দর্শক উচ্চস্বরে কিছু একটা বললেন। খেলোয়াড়টি চমকে গেলেন এবং সার্ভিসটি মিস করলেন। এমন ঘটনাগুলো খুবই দুঃখজনক। তাই আমাদের বুঝতে হবে কখন নীরব থাকা প্রয়োজন, আর কখন উল্লাস করা উচিত। যখন আমাদের দলের খেলোয়াড়রা ভালো খেলছেন, তখন মন খুলে তাদের উৎসাহিত করুন। কিন্তু যখন তারা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আছেন, তখন তাদের নীরব সমর্থন দিন।

নেতিবাচক মন্তব্য পরিহার: ইতিবাচক সমর্থনই মূলমন্ত্র

খেলায় হার-জিত থাকবেই, আর ভুল মানুষেরই হয়। কিন্তু কিছু দর্শক আছেন, যারা খেলোয়াড়দের ভুল করলে সরাসরি বাজে মন্তব্য করা শুরু করেন। এটা একদমই ঠিক না। খেলোয়াড়রাও তো মানুষ, তাদেরও খারাপ দিন যেতে পারে। আমার মনে আছে, একবার আমার প্রিয় দলের একজন খেলোয়াড় বারবার ভুল করছিলেন। গ্যালারির কিছু অংশ থেকে তার উদ্দেশ্যে টিটকারি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তার ঠিক পাশেই বসে থাকা একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোক উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে তাকে উৎসাহিত করছিলেন। ভদ্রলোকের এই ইতিবাচক মনোভাব দেখে আমি খুব অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। আমি সব সময় চেষ্টা করি, খারাপ পারফরম্যান্সের সময়ও যেন খেলোয়াড়দের প্রতি আমার সমর্থনটা ইতিবাচক থাকে। তাদের উৎসাহিত করলে তারা হয়তো আরও ভালো খেলার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন, আপনার নেতিবাচক মন্তব্য একজন খেলোয়াড়ের আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি ভেঙে দিতে পারে, কিন্তু আপনার একটি ইতিবাচক শব্দ তাদের নতুন করে লড়াই করার শক্তি জোগাতে পারে। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত তাদের মানসিক শক্তিকে আরও মজবুত করা, দুর্বল করা নয়।

অন্যান্য দর্শকদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, এক আনন্দময় অভিজ্ঞতা

ভলিবল ম্যাচ দেখতে আসাটা শুধুই নিজের জন্য নয়, বরং হাজার হাজার মানুষের সাথে এক আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মতো। আমি যখন মাঠে যাই, তখন আশেপাশের মানুষগুলোর সাথে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করি। কারণ, আপনার পাশে বসা মানুষটি যদি আপনারই মতো একজন ক্রীড়াপ্রেমী হন, তাহলে তার সাথে টুকটাক কথা বলতে বা খেলার ভালো-মন্দ নিয়ে আলোচনা করতে মন্দ লাগে না। কিন্তু কখনও কখনও দেখি, কিছু মানুষ নিজেদের ব্যক্তিগত জায়গার প্রতি একেবারেই খেয়াল রাখেন না, বা শিশুদের প্রতিও তাদের আচরণ রুঢ় হয়। এটা পুরো পরিবেশটাকেই অস্বস্তিকর করে তোলে। আমার মনে হয়, সবার সাথে মিলেমিশে খেলা দেখাটা আমাদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে। আপনি যদি আপনার পাশের মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন, তাহলে তারাও আপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। এই পারস্পরিক সম্মানবোধই স্টেডিয়ামের পরিবেশটাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। যখন সবাই মিলে হাসিমুখে চিয়ার করে, তখন সেই দৃশ্যটা সত্যিই দেখার মতো হয়। আমার মনে হয়, ভালো খেলার পাশাপাশি একটা সুন্দর সামাজিক পরিবেশ বজায় রাখাও আমাদের দায়িত্ব।

ব্যক্তিগত জায়গার প্রতি সম্মান: ধাক্কাধাক্কি থেকে বিরত থাকুন

স্টেডিয়ামে বসার সময় প্রত্যেকেরই একটা নির্দিষ্ট ব্যক্তিগত জায়গা থাকে। যদিও গ্যালারিতে বসার জায়গা সীমিত থাকে, তবুও অন্যের ব্যক্তিগত জায়গার প্রতি সম্মান দেখানোটা খুবই জরুরি। আমি দেখেছি, গোল বা স্পাইক হলে অনেকে উত্তেজনায় উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন, বা এমনভাবে হাত-পা ছড়ান যে পাশের মানুষের অসুবিধা হয়। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একবার এক ম্যাচে আমার পাশে একজন ভদ্রলোক বসেছিলেন, যিনি প্রতিটি ভালো শটেই এতটাই লাফিয়ে উঠছিলেন যে আমার ঘাড়ে বা হাতে বারবার ধাক্কা লাগছিল। এটা খুব অস্বস্তিকর ছিল। তাই আমি সব সময় চেষ্টা করি, আমার উল্লাস যেন আমার ব্যক্তিগত সীমার মধ্যেই থাকে। অন্যের উপর যেন কোনোভাবে চাপ সৃষ্টি না হয়। আপনার পাশের লোকটিরও খেলা উপভোগ করার সমান অধিকার আছে, তাই তাদের আরামের কথা মাথায় রেখে নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করুন। এতে করে সবাই মিলে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলাটা উপভোগ করতে পারবে।

বাচ্চাদের সাথে ভদ্রতা: তাদের শেখান কীভাবে উপভোগ করতে হয়

স্টেডিয়ামে অনেক পরিবারই তাদের বাচ্চাদের নিয়ে খেলা দেখতে আসেন। এই ছোট্ট সোনামণিরা খেলার মাঠে এসে নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। তাদের প্রতি আমাদের আচরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি সব সময় চেষ্টা করি, যদি আমার পাশে কোনো বাচ্চা থাকে, তাহলে তাদের প্রতি একটু সহানুভূতির হাত বাড়াতে। তাদের খেলা বুঝতে সাহায্য করা, বা সহজভাবে খেলার নিয়মগুলো বুঝিয়ে দেওয়া, এগুলো কিন্তু তাদের জন্য একটা দারুণ অভিজ্ঞতা হতে পারে। তবে কখনও কখনও দেখি, কিছু দর্শক বাচ্চাদের প্রতি বেশ রুঢ় আচরণ করেন, তাদের চুপ থাকতে বলেন বা তাদের কারণে বিরক্ত হন। এটা ঠিক নয়। বাচ্চাদের চিৎকার-চেঁচামেচি বা অস্থিরতা খুবই স্বাভাবিক। তাদের বকাঝকা না করে বরং তাদের শেখানো উচিত কীভাবে ভদ্রভাবে খেলা দেখতে হয়। একবার আমি দেখেছিলাম, একজন ভদ্রলোক তার বাচ্চাটিকে খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে কীভাবে নীরব থাকতে হয়, সেটা খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। আমার মনে হয়, আমরা বড়রা যদি তাদের সঠিক পথ দেখাতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে তারাও ভালো দর্শক হিসেবে গড়ে উঠবে।

কী করবেন কী করবেন না
খেলোয়াড়দের ইতিবাচকভাবে উৎসাহিত করুন নেতিবাচক মন্তব্য বা টিটকারি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন
নিজের বসার জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকুন অন্যের ব্যক্তিগত জায়গায় হস্তক্ষেপ করবেন না
আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন স্টেডিয়ামের মেঝেতে আবর্জনা ফেলবেন না
আশেপাশের দর্শকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন উচ্চস্বরে কথা বলা বা বিতর্ক এড়িয়ে চলুন
গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নীরবতা বজায় রাখুন খেলোয়াড়দের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাবেন না

খেলার মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দী করার সঠিক উপায়

আজকাল তো স্মার্টফোন ছাড়া আমরা এক মুহূর্তও চলতে পারি না, তাই না? আর খেলার মাঠে গেলে ছবি তোলা বা ভিডিও করাটা তো একরকম অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমিও তো অনেক সময় ম্যাচের কিছু দারুণ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করার চেষ্টা করি, যাতে পরে সেগুলো আবার দেখে আনন্দ পেতে পারি। তবে এই ছবি তোলা বা ভিডিও করারও কিছু নিয়ম আছে, যা আমরা অনেকেই হয়তো জানি না বা ভুলে যাই। কারণ আপনার একটি ছবি বা ভিডিও তোলার প্রচেষ্টা যেন অন্য কোনো দর্শক বা খেলোয়াড়ের জন্য সমস্যার কারণ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা খুবই জরুরি। একবার এক ম্যাচে দেখলাম, একজন দর্শক একটানা তার ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে ভিডিও করছিলেন, যা সরাসরি খেলোয়াড়দের চোখে পড়ছিল। এর ফলে খেলোয়াড়দের খেলায় মনোযোগ দিতে অসুবিধা হচ্ছিল। এই ধরনের ঘটনাগুলো কিন্তু আমাদের সকলের খেলা দেখার অভিজ্ঞতাকে নষ্ট করে দেয়। তাই আসুন, আমরা সবাই মিলে জেনে নিই, কীভাবে খেলার মুহূর্তগুলোকে সঠিকভাবে ফ্রেমবন্দী করা যায়, যাতে অন্য কারো কোনো অসুবিধা না হয়। মনে রাখবেন, আপনার স্মৃতি ধরে রাখার পাশাপাশি অন্য সবার অভিজ্ঞতাকেও সম্মান জানানোটা আমাদের দায়িত্ব।

Advertisement

ছবি ও ভিডিও তোলার ভদ্রতা: অন্যদের বাধা দেবেন না

ছবি বা ভিডিও তোলাটা খুবই স্বাভাবিক, কিন্তু সেটা যেন অন্যের খেলা দেখার অভিজ্ঞতায় বাধা না দেয়। আমি যখন ছবি তুলি, সব সময় খেয়াল রাখি যেন আমার ফোন বা ক্যামেরা অন্যের ভিউকে ব্লক না করে। বিশেষ করে, যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত আসে, তখন অনেকেই ক্যামেরা উঁচু করে ধরেন, যার ফলে পেছনের দর্শকদের পক্ষে খেলা দেখতে অসুবিধা হয়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একবার আমার সামনে বসা একজন ভদ্রলোক পুরো ম্যাচ জুড়েই তার ফোন উঁচু করে ভিডিও করছিলেন, যার ফলে আমার পক্ষে খেলার অনেক অংশই দেখা সম্ভব হয়নি। এটা খুবই হতাশাজনক ছিল। তাই, ছবি তোলার সময় একটু সচেতন হন। প্রয়োজন হলে একটু ঝুঁকে ছবি তুলুন, বা এমন সময় ছবি তুলুন যখন খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত নেই। আর ভিডিও করার সময় যদি আপনার ফোন অন্যদের ভিউ ব্লক করে, তাহলে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন, সবারই খেলা দেখার সমান অধিকার আছে।

ফ্ল্যাশ লাইটের ব্যবহার: খেলোয়াড়দের উপর এর প্রভাব

ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহারের ব্যাপারে আমি সব সময় খুব সতর্ক থাকি। ফ্ল্যাশ লাইট সরাসরি খেলোয়াড়দের চোখে পড়লে তাদের মনোযোগে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটতে পারে, বিশেষ করে যখন স্টেডিয়ামের আলো কম থাকে বা সন্ধ্যার পরের ম্যাচ হয়। একবার দেখলাম, একজন খেলোয়াড় সার্ভিস দিতে গিয়ে ফ্ল্যাশের আলোয় চমকে উঠলেন এবং সার্ভিসটি মিস করলেন। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের উপর এর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমার মনে হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্টেডিয়ামের আলো ছবি তোলার জন্য যথেষ্ট হয়, ফ্ল্যাশ লাইটের প্রয়োজন হয় না। তাই, যদি না একদমই প্রয়োজন না হয়, তাহলে ফ্ল্যাশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। যদি ছবি তুলতেই হয়, তাহলে ফ্ল্যাশ বন্ধ করে প্রাকৃতিক আলোতে ছবি তোলার চেষ্টা করুন। খেলোয়াড়দের মনোযোগ এবং খেলার মানের প্রতি আমাদের সম্মান দেখানো উচিত, যাতে তারা তাদের সেরা পারফরম্যান্স দিতে পারে।

স্টেডিয়ামের পরিবেশ বজায় রাখার আমাদের দায়িত্ব

স্টেডিয়াম শুধু ইট-পাথরের একটা কাঠামো নয়, এটা আমাদের আবেগ, আমাদের উদ্দীপনার কেন্দ্র। আর এই জায়গার পরিচ্ছন্নতা এবং সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখাটা আমাদের সবারই দায়িত্ব। আমি যখনই কোনো স্টেডিয়ামে যাই, সব সময় চেষ্টা করি আমার চারপাশটা পরিচ্ছন্ন রাখতে। কারণ, একবার ভাবুন তো, যদি সবাই নিজেদের আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলে যায়, তাহলে খেলা শেষ হওয়ার পর স্টেডিয়ামের কী অবস্থা হবে?

একটা সুন্দর আর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ না থাকলে খেলা দেখার আনন্দটাও যেন ম্লান হয়ে যায়। আমার মনে আছে, একবার খেলা শেষে যখন আমরা স্টেডিয়াম থেকে বের হচ্ছিলাম, তখন আবর্জনায় ভরে গিয়েছিল পুরো জায়গাটা। সেটা দেখতে খুব খারাপ লেগেছিল এবং মনে হচ্ছিল যেন আমরা আমাদের আবেগের জায়গাকেই নোংরা করে ফেলছি। তাই আমাদের সকলেরই উচিত স্টেডিয়ামের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা। এছাড়াও, ধূমপান বা মদ্যপানের মতো বিষয়গুলোও স্টেডিয়ামের নির্দিষ্ট স্থানেই করা উচিত, যাতে অন্যদের কোনো অসুবিধা না হয়। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো কিন্তু একটা বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন: আপনার আবর্জনা আপনার দায়িত্ব

খেলা দেখতে গিয়ে আমরা সবাই কম-বেশি স্ন্যাকস বা পানীয় খাই। কিন্তু এই খাওয়ার পর যে আবর্জনা তৈরি হয়, সেগুলো কোথায় ফেলব? স্টেডিয়ামের প্রতিটি প্রান্তে আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট বিন থাকে। আমাদের উচিত সেগুলো সেখানেই ফেলা। আমি দেখেছি, অনেকে নিজেদের সিটের নিচেই খাবারের প্যাকেট বা বোতল ফেলে চলে যান। এটা খুবই দুঃখজনক। একবার এক ম্যাচে আমার পাশের এক ভদ্রলোক তার পানির বোতলটা খেলার মাঠে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। এর ফলে খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং একজন মাঠকর্মী এসে সেটা পরিষ্কার করেছিলেন। এমন ঘটনাগুলো খুবই বিব্রতকর। আপনার আবর্জনা আপনারই দায়িত্ব, তাই দয়া করে তা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। পরিচ্ছন্ন স্টেডিয়াম কেবল আমাদের জন্যই নয়, খেলোয়াড়দের জন্যও একটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করে। একটু সচেতন হলেই আমরা সবাই মিলে স্টেডিয়ামকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি।

ধূমপান ও মদ্যপান: নির্দিষ্ট স্থানেই হোক আপনার বিনোদন

ধূমপান এবং মদ্যপান ব্যক্তিগত অভ্যাস হতে পারে, কিন্তু স্টেডিয়ামে এটি সকলের সামনে করাটা খুবই অনুচিত। অধিকাংশ স্টেডিয়ামে ধূমপান ও মদ্যপানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারিত থাকে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একবার এক ম্যাচে আমার ঠিক পেছনে বসে একজন দর্শক ধূমপান করছিলেন, যার ধোঁয়া সরাসরি আমার মুখে আসছিল। এতে আমি খুবই অস্বস্তিবোধ করছিলাম এবং আমার মতো আরও অনেকেই বিরক্ত হচ্ছিলেন। স্টেডিয়াম একটি পাবলিক প্লেস, যেখানে শিশুরাও খেলা দেখতে আসে। তাই সবার সুস্থ পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ধূমপান বা মদ্যপান করতে হলে নির্দিষ্ট স্থানেই যান। অন্যের স্বাস্থ্যের প্রতি এবং সামাজিক পরিবেশের প্রতি সম্মান দেখানোটা আমাদের দায়িত্ব। নিয়ম মেনে চললে সকলের জন্যই খেলা দেখার অভিজ্ঞতাটা আরও সুন্দর হবে।

নিজের জন্য এবং সবার জন্য আরামদায়ক অভিজ্ঞতা

Advertisement

খেলা দেখতে যাওয়া মানেই লম্বা সময় ধরে এক জায়গায় বসে থাকা। তাই আরামদায়কভাবে এই সময়টা কাটানোটা খুব জরুরি, কেবল নিজের জন্য নয়, আশেপাশের সকলের জন্যও। আমি যখন স্টেডিয়ামে যাই, পোশাক এবং জুতো নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকি। কারণ, আরামদায়ক না হলে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকাটা বেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে। শুধু তা-ই নয়, খেলা দেখতে দেখতে যে ক্ষুধা বা তৃষ্ণা পায়, সেগুলোর জন্যও কিছু প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। কিন্তু এই খাবার বা পানীয় উপভোগ করার ক্ষেত্রেও কিছু শিষ্টাচার মেনে চলা প্রয়োজন। একবার আমি দেখেছিলাম, একজন দর্শক খুব উচ্চস্বরে চিপস খাচ্ছিলেন, যা খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অন্য দর্শকদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল। এমন ছোট ছোট বিষয়গুলো কিন্তু আমাদের সকলের অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করে। তাই আসুন, আমরা নিজেদের আরামের পাশাপাশি অন্যদের আরামের কথাও ভাবি, এবং এই আনন্দময় অভিজ্ঞতাকে সকলের জন্য আরও সুখকর করে তুলি। একটু সচেতন হলেই এই বিষয়গুলো আমরা খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

দীর্ঘক্ষণ বসার প্রস্তুতি: আরামদায়ক পোশাক ও জুতো

স্টেডিয়ামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে খেলা দেখতে হয়, তাই আরামদায়ক পোশাক এবং জুতো পরাটা অত্যন্ত জরুরি। আমি সব সময় এমন পোশাক পরিধান করি যা আমার শরীরের সাথে মানানসই এবং যার কারণে আমাকে অস্বস্তিতে পড়তে না হয়। টাইট পোশাক বা হাই হিল জুতো পরে গেলে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা হাঁটাহাঁটি করা বেশ কষ্টকর হতে পারে। বিশেষ করে, ভলিবল ম্যাচগুলো প্রায়ই বেশ দীর্ঘ হয় এবং এতে অনেক সময় অতিরিক্ত সেটও খেলা হয়। তাই আমার মতে, ঢিলেঢালা পোশাক এবং ফ্ল্যাট জুতো পরাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে করে আপনি আরামে বসতে পারবেন, প্রয়োজনে সহজে চলাফেরা করতে পারবেন এবং খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনার মন ফুরফুরে থাকবে। নিজের আরামের কথা মাথায় রাখলে আপনি মনোযোগ দিয়ে খেলা উপভোগ করতে পারবেন, যা আপনার অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তুলবে।

খাবার ও পানীয়: নিয়ম মেনে উপভোগ করুন

স্টেডিয়ামে খাবার ও পানীয় নিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম থাকে, আর সেগুলো মেনে চলাটা খুবই জরুরি। সাধারণত, স্টেডিয়ামের ভেতরে নির্দিষ্ট কিছু খাবার ও পানীয় বিক্রি হয়, আর বাইরে থেকে নির্দিষ্ট কিছু জিনিস আনার অনুমতি থাকে। এই নিয়মগুলো জেনে রাখা উচিত। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একবার এক ম্যাচে আমার পাশে বসা একজন দর্শক এমন তীব্র গন্ধযুক্ত খাবার খাচ্ছিলেন যে আশেপাশের অনেকেই অস্বস্তিবোধ করছিলেন। এছাড়াও, খাবার খাওয়ার সময় বা পানীয় পান করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যাতে আপনার পাশের সিটে বা অন্য কারো উপর কিছু না পড়ে যায়। বোতলের মুখ বন্ধ করে রাখা, বা খাবারের প্যাকেট সাবধানে খোলা – এই ছোট ছোট বিষয়গুলো কিন্তু একটা ভালো পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন, আপনার খাবার উপভোগ করাটা যেন অন্য কারো জন্য বিরক্তির কারণ না হয়।

খেলা শেষেও বজায় থাকুক আপনার সুরুচি

খেলা শেষ হয়ে গেলেও আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, বরং তখনো আমাদের কিছু ভদ্রতা বজায় রাখা উচিত। আমি দেখেছি, খেলা শেষের পর অনেকেই তাড়াহুড়ো করে স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন, যার ফলে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আবার অনেকে খেলোয়াড়দের প্রতি এমন আচরণ করেন যা শোভনীয় নয়। আমার মনে হয়, খেলা শুরুর মতো খেলা শেষের সময়টাও আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের শেষ মুহূর্তের আচরণই পুরো অভিজ্ঞতাকে একটি সুন্দর সমাপ্তি এনে দিতে পারে। মনে রাখবেন, আপনি একজন ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে শুধু খেলা দেখতে আসেন না, বরং একটি সমাজের অংশ হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করতে আসেন। তাই খেলা শেষেও যেন আমাদের সুরুচি এবং ভদ্রতা বজায় থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। এতে করে স্টেডিয়ামের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকে এবং সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে।

নির্বিঘ্নে প্রস্থান: তাড়াহুড়ো নয়, ধৈর্য ধরুন

খেলা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সবাই যেন একযোগে স্টেডিয়ামের গেটের দিকে ছুটতে শুরু করে। এটা খুবই বিপজ্জনক। এতে ভিড় বেড়ে যায় এবং ধাক্কাধাক্কির কারণে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একবার এক ম্যাচে খেলা শেষ হওয়ার পর আমি একটু ধীরে ধীরে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পেছন থেকে এত চাপ আসছিল যে আমি পড়ে যাচ্ছিলাম আর একটুর জন্য গুরুতর আঘাত পাওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম। তাই খেলা শেষ হলে একটু ধৈর্য ধরুন। পাঁচ-দশ মিনিট অপেক্ষা করুন, ভিড় কিছুটা হালকা হয়ে যাবে। তারপর ধীরেসুস্থে স্টেডিয়াম থেকে বের হন। আপনার নিরাপত্তা আপনার নিজের হাতে। তাড়াহুড়ো করে কোনো লাভ হয় না, বরং এতে বিপদ বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। সবাই যদি একটু সচেতন হয়, তাহলে এই প্রস্থান প্রক্রিয়াটা অনেক মসৃণ হতে পারে।

খেলোয়াড়দের বিদায় জানানো: সম্মানসূচক অভ্যর্থনা

খেলা শেষ হওয়ার পর খেলোয়াড়রা যখন মাঠ ছাড়েন, তখন তাদের প্রতি আমাদের সম্মান জানানো উচিত, সে যেই দলেরই খেলোয়াড় হোক না কেন। তারা দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন আমাদের বিনোদনের জন্য। তাই তাদের ধন্যবাদ জানানো বা হাততালি দিয়ে বিদায় জানানোটা আমাদের কর্তব্য। আমার মনে আছে, একবার আমার প্রিয় দল হেরে গিয়েছিল, কিন্তু তারপরও যখন খেলোয়াড়রা মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন সবাই দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছিল। সেই দৃশ্যটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছিল। এটা তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা ও সম্মান প্রদর্শনের একটি সুন্দর উপায়। কোনো খেলোয়াড়কে ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ্য করে বাজে মন্তব্য করা বা তাদের দিকে কিছু ছুড়ে মারাটা খুবই অনুচিত এবং অসভ্য আচরণ। তাদের পরাজয়ের সময়ও আমাদের ইতিবাচক মনোভাব তাদের মনে অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে।

গ্যালারিতে আপনার উপস্থিতি যেন উৎসবের অংশ হয়

আহা, ভলিবল ম্যাচ দেখতে আসাটা তো শুধু একটা খেলা দেখা নয়, এটা যেন এক উৎসবের অংশ হওয়া! আমি যখনই স্টেডিয়ামের দিকে পা বাড়াই, বুকের ভেতর একটা অন্যরকম উত্তেজনা অনুভব করি। মনে হয় যেন কোন এক বড় আয়োজনে যাচ্ছি, যেখানে সবাই মিলে একজোট হয়ে আনন্দ করব। কিন্তু এই আনন্দকে পূর্ণতা দিতে হলে আমাদেরও কিছু দায়িত্ব থাকে, তাই না?

যেমন ধরুন, আপনার বসার জায়গাটা, বা আপনি কীভাবে খেলা শুরুর আগে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এগুলো কিন্তু পুরো ম্যাচের মেজাজটাই নির্ধারণ করে দেয়। আমি দেখেছি, অনেকে হুট করে এসে যে কোনো জায়গায় বসে পড়েন, তারপর হয়তো অন্যদের অসুবিধা হয়। ব্যক্তিগতভাবে, আমি সব সময় চেষ্টা করি একটু আগে পৌঁছাতে, যাতে নিজের সিটে আরাম করে বসতে পারি এবং আশেপাশের পরিবেশটা একটু বুঝে নিতে পারি। এর ফলে খেলার শুরু থেকেই মনটা শান্ত থাকে এবং প্রতিটি পয়েন্টের জন্য সঠিকভাবে চিয়ার করতে পারি। আপনার ছোটখাটো প্রস্তুতি আপনার এবং আপনার পাশে থাকা সকলের জন্য একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে। মনে রাখবেন, আপনার উপস্থিতি যেন শুধু এক দর্শক হিসেবে না হয়, বরং এই ক্রীড়াযজ্ঞের একজন সক্রিয় ও আনন্দময় অংশীদার হিসেবে হয়। একটা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হলে খেলোয়াড়রাও উৎসাহ পান এবং খেলাটা আরও জমজমাট হয়। তাই আসুন, এই উৎসবের অংশ হওয়ার জন্য আমরা সবাই মিলে একটু সচেতন হই।

খেলার আগে প্রস্তুতি: আপনার সিট নির্বাচন এবং পরিবেশ বোঝা

খেলা দেখতে গেলে সবার আগে যে বিষয়টা আমি খেয়াল রাখি, তা হলো আমার বসার জায়গা। টিকিট কাটার সময়ই চেষ্টা করি এমন একটা সিট নিতে, যেখান থেকে খেলার মাঠের ভালো ভিউ পাওয়া যায় এবং আশেপাশের পরিবেশটাও আরামদায়ক মনে হয়। মাঠে পৌঁছানোর পর, নিজের সিটে বসার আগে একবার আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নিই। দেখি আমার পাশে কে বসেছেন, বা সামনের সিটে কারা আছেন। এর ফলে ম্যাচের শুরু থেকেই একটা ধারণা থাকে যে, কার সাথে কেমন আচরণ করলে একটা ভালো পরিবেশ বজায় থাকবে। যেমন ধরুন, যদি আপনার পাশে ছোট বাচ্চা নিয়ে কেউ বসেন, তাহলে হয়তো আপনাকে তাদের প্রতি একটু বেশি সহানুভূতিশীল হতে হবে। আর যদি দেখেন আপনার আশেপাশে এমন কিছু লোক বসেছেন যারা উচ্চস্বরে কথা বলছেন বা অন্যদের বিরক্ত করছেন, তখন আপনি নিজেই একটু দূরত্ব বজায় রাখতে পারবেন। এই ছোটখাটো প্রস্তুতিগুলো কিন্তু আপনার পুরো খেলার অভিজ্ঞতাকে অনেক সুন্দর করে তোলে। আমি তো মনে করি, খেলা শুরু হওয়ার অন্তত ১৫-২০ মিনিট আগে পৌঁছানো উচিত, যাতে তাড়াহুড়ো না থাকে এবং আপনি আরাম করে নিজের জায়গায় বসতে পারেন।

উল্লাস করুন, কিন্তু বাড়াবাড়ি নয়: সীমার মধ্যে আনন্দ প্রকাশ

ভলিবল খেলার সময় প্রতিটি পয়েন্টে বা দারুণ একটি সেভে আমাদের আবেগ প্রকাশ করাটা খুবই স্বাভাবিক। আমিও তো গোল বা স্পাইক দেখে লাফিয়ে উঠি! তবে এই উল্লাস প্রকাশ করার একটা সীমা থাকা উচিত। কখনও কখনও দেখি, কিছু দর্শক এমনভাবে চিৎকার করেন বা হাততালি দেন যে আশেপাশের দর্শকদের কানে লাগে বা বিরক্তি তৈরি হয়। খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেওয়াটা জরুরি, কিন্তু সেটা যেন অন্যের মনোযোগে ব্যাঘাত না ঘটায়। বিশেষ করে, যখন খেলাটা খুব টাইট থাকে বা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট চলছে, তখন খেলোয়াড়দেরও মনোযোগের প্রয়োজন হয়। ওই মুহূর্তে অতিরিক্ত উচ্চস্বরে চেঁচামেচি বা বাঁশি বাজানোটা খেলোয়াড়দের জন্যেও ক্ষতিকারক হতে পারে। আমি সব সময় চেষ্টা করি, আমার আনন্দটা যেন একটা নিয়ন্ত্রিত উপায়ে প্রকাশ পায়। হাততালি দিই, চিৎকার করি, কিন্তু সেটা যেন এমন হয় যে আমার পাশের জনও আমার সাথে স্বাচ্ছন্দ্যে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারে। মনে রাখবেন, আপনার উল্লাস অন্যদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমেই এর প্রকৃত সৌন্দর্য প্রকাশ পায়, কাউকে বিরক্ত করার মাধ্যমে নয়।

Advertisement

খেলোয়াড়দের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, তাদের সেরা পারফরম্যান্সের ভিত্তি

배구 경기 관람 매너 - **Prompt:** A heartwarming scene showing a volleyball player in a standard, clean uniform (shorts an...
খেলোয়াড়রা মাঠে আসেন তাদের সেরাটা দিতে, আর আমাদের সমর্থনই তাদের সেই শক্তি জোগায়। আমি যখন গ্যালারিতে বসি, আমার চোখ সব সময় খেলোয়াড়দের দিকেই থাকে। তাদের প্রতিটি নড়াচড়া, প্রতিটি অভিব্যক্তি আমি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করি। আর এই সময়টাতেই আমি বুঝতে পারি, আমাদের একটা ভুল মন্তব্য বা ভুল আচরণ তাদের মনঃসংযোগে কতটা ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। সত্যি বলতে কি, খেলোয়াড়রা যখন চাপের মধ্যে থাকেন, তখন আমাদের নেতিবাচক কথা তাদের আত্মবিশ্বাস ভেঙে দিতে পারে। আমার মনে আছে, একবার একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আমাদের দলের একজন খেলোয়াড় একটা সহজ পয়েন্ট মিস করেছিলেন। গ্যালারি থেকে অনেকেই তার উদ্দেশ্যে বাজে কথা বলা শুরু করেছিলেন। আমি তখন অবাক হয়ে দেখেছিলাম, কীভাবে একজন খেলোয়াড়ের মুখ মলিন হয়ে গেল এবং তার পরবর্তী পারফরম্যান্সেও এর প্রভাব পড়লো। ওই দিন আমি উপলব্ধি করেছিলাম, আমাদের ইতিবাচক সমর্থন কতটা জরুরি। খেলোয়াড়রা শুধু আমাদের বিনোদনের জন্য মাঠে আসেন না, তারা আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, আমাদের স্বপ্নগুলোকে বহন করেন। তাই তাদের প্রতি আমাদের সম্মান দেখানোটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের প্রতিটি চিয়ার, প্রতিটি হাততালি যেন তাদের আরও ভালো খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করে, তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে। একটা ভালো পরিবেশ পেলে একজন খেলোয়াড় তার নিজের সেরাটা দিতে পারেন, আর সেটা দেখতে পাওয়াটা আমাদের জন্যও দারুণ আনন্দের।

মনোযোগ ব্যাঘাত না ঘটানো: কখন চুপ থাকবেন, কখন উৎসাহিত করবেন

ভলিবল একটি গতিময় খেলা, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে খেলোয়াড়দের উচ্চ মনোযোগের প্রয়োজন হয়। যখন একটি সার্ভিস হয়, বা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পাইক আসে, তখন খেলোয়াড়রা নিজেদের সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে থাকেন। আমি দেখেছি, এই সময়টায় কিছু দর্শক হুট করে চিৎকার করে ওঠেন বা এমন কিছু শব্দ করেন যা খেলোয়াড়দের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যখন খেলাটা খুব টানটান হয়, তখন একদম পিন-ড্রপ সাইলেন্স থাকা উচিত, বিশেষ করে যখন কোনো খেলোয়াড় সার্ভিস দিতে যান। একবার এক ম্যাচে দেখলাম, একজন খেলোয়াড় সার্ভিসের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন, আর পেছন থেকে একজন দর্শক উচ্চস্বরে কিছু একটা বললেন। খেলোয়াড়টি চমকে গেলেন এবং সার্ভিসটি মিস করলেন। এমন ঘটনাগুলো খুবই দুঃখজনক। তাই আমাদের বুঝতে হবে কখন নীরব থাকা প্রয়োজন, আর কখন উল্লাস করা উচিত। যখন আমাদের দলের খেলোয়াড়রা ভালো খেলছেন, তখন মন খুলে তাদের উৎসাহিত করুন। কিন্তু যখন তারা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আছেন, তখন তাদের নীরব সমর্থন দিন।

নেতিবাচক মন্তব্য পরিহার: ইতিবাচক সমর্থনই মূলমন্ত্র

খেলায় হার-জিত থাকবেই, আর ভুল মানুষেরই হয়। কিন্তু কিছু দর্শক আছেন, যারা খেলোয়াড়দের ভুল করলে সরাসরি বাজে মন্তব্য করা শুরু করেন। এটা একদমই ঠিক না। খেলোয়াড়রাও তো মানুষ, তাদেরও খারাপ দিন যেতে পারে। আমার মনে আছে, একবার আমার প্রিয় দলের একজন খেলোয়াড় বারবার ভুল করছিলেন। গ্যালারির কিছু অংশ থেকে তার উদ্দেশ্যে টিটকারি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তার ঠিক পাশেই বসে থাকা একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোক উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে তাকে উৎসাহিত করছিলেন। ভদ্রলোকের এই ইতিবাচক মনোভাব দেখে আমি খুব অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। আমি সব সময় চেষ্টা করি, খারাপ পারফরম্যান্সের সময়ও যেন খেলোয়াড়দের প্রতি আমার সমর্থনটা ইতিবাচক থাকে। তাদের উৎসাহিত করলে তারা হয়তো আরও ভালো খেলার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন, আপনার নেতিবাচক মন্তব্য একজন খেলোয়াড়ের আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি ভেঙে দিতে পারে, কিন্তু আপনার একটি ইতিবাচক শব্দ তাদের নতুন করে লড়াই করার শক্তি জোগাতে পারে। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত তাদের মানসিক শক্তিকে আরও মজবুত করা, দুর্বল করা নয়।

অন্যান্য দর্শকদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, এক আনন্দময় অভিজ্ঞতা

ভলিবল ম্যাচ দেখতে আসাটা শুধুই নিজের জন্য নয়, বরং হাজার হাজার মানুষের সাথে এক আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মতো। আমি যখন মাঠে যাই, তখন আশেপাশের মানুষগুলোর সাথে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করি। কারণ, আপনার পাশে বসা মানুষটি যদি আপনারই মতো একজন ক্রীড়াপ্রেমী হন, তাহলে তার সাথে টুকটাক কথা বলতে বা খেলার ভালো-মন্দ নিয়ে আলোচনা করতে মন্দ লাগে না। কিন্তু কখনও কখনও দেখি, কিছু মানুষ নিজেদের ব্যক্তিগত জায়গার প্রতি একেবারেই খেয়াল রাখেন না, বা শিশুদের প্রতিও তাদের আচরণ রুঢ় হয়। এটা পুরো পরিবেশটাকেই অস্বস্তিকর করে তোলে। আমার মনে হয়, সবার সাথে মিলেমিশে খেলা দেখাটা আমাদের অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে। আপনি যদি আপনার পাশের মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন, তাহলে তারাও আপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। এই পারস্পরিক সম্মানবোধই স্টেডিয়ামের পরিবেশটাকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। যখন সবাই মিলে হাসিমুখে চিয়ার করে, তখন সেই দৃশ্যটা সত্যিই দেখার মতো হয়। আমার মনে হয়, ভালো খেলার পাশাপাশি একটা সুন্দর সামাজিক পরিবেশ বজায় রাখাও আমাদের দায়িত্ব।

ব্যক্তিগত জায়গার প্রতি সম্মান: ধাক্কাধাক্কি থেকে বিরত থাকুন

স্টেডিয়ামে বসার সময় প্রত্যেকেরই একটা নির্দিষ্ট ব্যক্তিগত জায়গা থাকে। যদিও গ্যালারিতে বসার জায়গা সীমিত থাকে, তবুও অন্যের ব্যক্তিগত জায়গার প্রতি সম্মান দেখানোটা খুবই জরুরি। আমি দেখেছি, গোল বা স্পাইক হলে অনেকে উত্তেজনায় উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন, বা এমনভাবে হাত-পা ছড়ান যে পাশের মানুষের অসুবিধা হয়। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একবার এক ম্যাচে আমার পাশে একজন ভদ্রলোক বসেছিলেন, যিনি প্রতিটি ভালো শটেই এতটাই লাফিয়ে উঠছিলেন যে আমার ঘাড়ে বা হাতে বারবার ধাক্কা লাগছিল। এটা খুব অস্বস্তিকর ছিল। তাই আমি সব সময় চেষ্টা করি, আমার উল্লাস যেন আমার ব্যক্তিগত সীমার মধ্যেই থাকে। অন্যের উপর যেন কোনোভাবে চাপ সৃষ্টি না হয়। আপনার পাশের লোকটিরও খেলা উপভোগ করার সমান অধিকার আছে, তাই তাদের আরামের কথা মাথায় রেখে নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করুন। এতে করে সবাই মিলে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলাটা উপভোগ করতে পারবে।

বাচ্চাদের সাথে ভদ্রতা: তাদের শেখান কীভাবে উপভোগ করতে হয়

স্টেডিয়ামে অনেক পরিবারই তাদের বাচ্চাদের নিয়ে খেলা দেখতে আসেন। এই ছোট্ট সোনামণিরা খেলার মাঠে এসে নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। তাদের প্রতি আমাদের আচরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি সব সময় চেষ্টা করি, যদি আমার পাশে কোনো বাচ্চা থাকে, তাহলে তাদের প্রতি একটু সহানুভূতির হাত বাড়াতে। তাদের খেলা বুঝতে সাহায্য করা, বা সহজভাবে খেলার নিয়মগুলো বুঝিয়ে দেওয়া, এগুলো কিন্তু তাদের জন্য একটা দারুণ অভিজ্ঞতা হতে পারে। তবে কখনও কখনও দেখি, কিছু দর্শক বাচ্চাদের প্রতি বেশ রুঢ় আচরণ করেন, তাদের চুপ থাকতে বলেন বা তাদের কারণে বিরক্ত হন। এটা ঠিক নয়। বাচ্চাদের চিৎকার-চেঁচামেচি বা অস্থিরতা খুবই স্বাভাবিক। তাদের বকাঝকা না করে বরং তাদের শেখানো উচিত কীভাবে ভদ্রভাবে খেলা দেখতে হয়। একবার আমি দেখেছিলাম, একজন ভদ্রলোক তার বাচ্চাটিকে খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে কীভাবে নীরব থাকতে হয়, সেটা খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। আমার মনে হয়, আমরা বড়রা যদি তাদের সঠিক পথ দেখাতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে তারাও ভালো দর্শক হিসেবে গড়ে উঠবে।

কী করবেন কী করবেন না
খেলোয়াড়দের ইতিবাচকভাবে উৎসাহিত করুন নেতিবাচক মন্তব্য বা টিটকারি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন
নিজের বসার জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকুন অন্যের ব্যক্তিগত জায়গায় হস্তক্ষেপ করবেন না
আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন স্টেডিয়ামের মেঝেতে আবর্জনা ফেলবেন না
আশেপাশের দর্শকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন উচ্চস্বরে কথা বলা বা বিতর্ক এড়িয়ে চলুন
গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নীরবতা বজায় রাখুন খেলোয়াড়দের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাবেন না
Advertisement

খেলার মুহূর্তগুলো ফ্রেমবন্দী করার সঠিক উপায়

আজকাল তো স্মার্টফোন ছাড়া আমরা এক মুহূর্তও চলতে পারি না, তাই না? আর খেলার মাঠে গেলে ছবি তোলা বা ভিডিও করাটা তো একরকম অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমিও তো অনেক সময় ম্যাচের কিছু দারুণ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করার চেষ্টা করি, যাতে পরে সেগুলো আবার দেখে আনন্দ পেতে পারি। তবে এই ছবি তোলা বা ভিডিও করারও কিছু নিয়ম আছে, যা আমরা অনেকেই হয়তো জানি না বা ভুলে যাই। কারণ আপনার একটি ছবি বা ভিডিও তোলার প্রচেষ্টা যেন অন্য কোনো দর্শক বা খেলোয়াড়ের জন্য সমস্যার কারণ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা খুবই জরুরি। একবার এক ম্যাচে দেখলাম, একজন দর্শক একটানা তার ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে ভিডিও করছিলেন, যা সরাসরি খেলোয়াড়দের চোখে পড়ছিল। এর ফলে খেলোয়াড়দের খেলায় মনোযোগ দিতে অসুবিধা হচ্ছিল। এই ধরনের ঘটনাগুলো কিন্তু আমাদের সকলের খেলা দেখার অভিজ্ঞতাকে নষ্ট করে দেয়। তাই আসুন, আমরা সবাই মিলে জেনে নিই, কীভাবে খেলার মুহূর্তগুলোকে সঠিকভাবে ফ্রেমবন্দী করা যায়, যাতে অন্য কারো কোনো অসুবিধা না হয়। মনে রাখবেন, আপনার স্মৃতি ধরে রাখার পাশাপাশি অন্য সবার অভিজ্ঞতাকেও সম্মান জানানোটা আমাদের দায়িত্ব।

ছবি ও ভিডিও তোলার ভদ্রতা: অন্যদের বাধা দেবেন না

ছবি বা ভিডিও তোলাটা খুবই স্বাভাবিক, কিন্তু সেটা যেন অন্যের খেলা দেখার অভিজ্ঞতায় বাধা না দেয়। আমি যখন ছবি তুলি, সব সময় খেয়াল রাখি যেন আমার ফোন বা ক্যামেরা অন্যের ভিউকে ব্লক না করে। বিশেষ করে, যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত আসে, তখন অনেকেই ক্যামেরা উঁচু করে ধরেন, যার ফলে পেছনের দর্শকদের পক্ষে খেলা দেখতে অসুবিধা হয়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একবার আমার সামনে বসা একজন ভদ্রলোক পুরো ম্যাচ জুড়েই তার ফোন উঁচু করে ভিডিও করছিলেন, যার ফলে আমার পক্ষে খেলার অনেক অংশই দেখা সম্ভব হয়নি। এটা খুবই হতাশাজনক ছিল। তাই, ছবি তোলার সময় একটু সচেতন হন। প্রয়োজন হলে একটু ঝুঁকে ছবি তুলুন, বা এমন সময় ছবি তুলুন যখন খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত নেই। আর ভিডিও করার সময় যদি আপনার ফোন অন্যদের ভিউ ব্লক করে, তাহলে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন, সবারই খেলা দেখার সমান অধিকার আছে।

ফ্ল্যাশ লাইটের ব্যবহার: খেলোয়াড়দের উপর এর প্রভাব

ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহারের ব্যাপারে আমি সব সময় খুব সতর্ক থাকি। ফ্ল্যাশ লাইট সরাসরি খেলোয়াড়দের চোখে পড়লে তাদের মনোযোগে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটতে পারে, বিশেষ করে যখন স্টেডিয়ামের আলো কম থাকে বা সন্ধ্যার পরের ম্যাচ হয়। একবার দেখলাম, একজন খেলোয়াড় সার্ভিস দিতে গিয়ে ফ্ল্যাশের আলোয় চমকে উঠলেন এবং সার্ভিসটি মিস করলেন। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের উপর এর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমার মনে হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্টেডিয়ামের আলো ছবি তোলার জন্য যথেষ্ট হয়, ফ্ল্যাশ লাইটের প্রয়োজন হয় না। তাই, যদি না একদমই প্রয়োজন না হয়, তাহলে ফ্ল্যাশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। যদি ছবি তুলতেই হয়, তাহলে ফ্ল্যাশ বন্ধ করে প্রাকৃতিক আলোতে ছবি তোলার চেষ্টা করুন। খেলোয়াড়দের মনোযোগ এবং খেলার মানের প্রতি আমাদের সম্মান দেখানো উচিত, যাতে তারা তাদের সেরা পারফরম্যান্স দিতে পারে।

স্টেডিয়ামের পরিবেশ বজায় রাখার আমাদের দায়িত্ব

স্টেডিয়াম শুধু ইট-পাথরের একটা কাঠামো নয়, এটা আমাদের আবেগ, আমাদের উদ্দীপনার কেন্দ্র। আর এই জায়গার পরিচ্ছন্নতা এবং সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখাটা আমাদের সবারই দায়িত্ব। আমি যখনই কোনো স্টেডিয়ামে যাই, সব সময় চেষ্টা করি আমার চারপাশটা পরিচ্ছন্ন রাখতে। কারণ, একবার ভাবুন তো, যদি সবাই নিজেদের আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলে যায়, তাহলে খেলা শেষ হওয়ার পর স্টেডিয়ামের কী অবস্থা হবে?

একটা সুন্দর আর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ না থাকলে খেলা দেখার আনন্দটাও যেন ম্লান হয়ে যায়। আমার মনে আছে, একবার খেলা শেষে যখন আমরা স্টেডিয়াম থেকে বের হচ্ছিলাম, তখন আবর্জনায় ভরে গিয়েছিল পুরো জায়গাটা। সেটা দেখতে খুব খারাপ লেগেছিল এবং মনে হচ্ছিল যেন আমরা আমাদের আবেগের জায়গাকেই নোংরা করে ফেলছি। তাই আমাদের সকলেরই উচিত স্টেডিয়ামের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা। এছাড়াও, ধূমপান বা মদ্যপানের মতো বিষয়গুলোও স্টেডিয়ামের নির্দিষ্ট স্থানেই করা উচিত, যাতে অন্যদের কোনো অসুবিধা না হয়। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো কিন্তু একটা বড় পরিবর্তন আনতে পারে।

পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন: আপনার আবর্জনা আপনার দায়িত্ব

খেলা দেখতে গিয়ে আমরা সবাই কম-বেশি স্ন্যাকস বা পানীয় খাই। কিন্তু এই খাওয়ার পর যে আবর্জনা তৈরি হয়, সেগুলো কোথায় ফেলব? স্টেডিয়ামের প্রতিটি প্রান্তে আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট বিন থাকে। আমাদের উচিত সেগুলো সেখানেই ফেলা। আমি দেখেছি, অনেকে নিজেদের সিটের নিচেই খাবারের প্যাকেট বা বোতল ফেলে চলে যান। এটা খুবই দুঃখজনক। একবার এক ম্যাচে আমার পাশের এক ভদ্রলোক তার পানির বোতলটা খেলার মাঠে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। এর ফলে খেলা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং একজন মাঠকর্মী এসে সেটা পরিষ্কার করেছিলেন। এমন ঘটনাগুলো খুবই বিব্রতকর। আপনার আবর্জনা আপনারই দায়িত্ব, তাই দয়া করে তা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। পরিচ্ছন্ন স্টেডিয়াম কেবল আমাদের জন্যই নয়, খেলোয়াড়দের জন্যও একটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করে। একটু সচেতন হলেই আমরা সবাই মিলে স্টেডিয়ামকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি।

Advertisement

ধূমপান ও মদ্যপান: নির্দিষ্ট স্থানেই হোক আপনার বিনোদন

ধূমপান এবং মদ্যপান ব্যক্তিগত অভ্যাস হতে পারে, কিন্তু স্টেডিয়ামে এটি সকলের সামনে করাটা খুবই অনুচিত। অধিকাংশ স্টেডিয়ামে ধূমপান ও মদ্যপানের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারিত থাকে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একবার এক ম্যাচে আমার ঠিক পেছনে বসে একজন দর্শক ধূমপান করছিলেন, যার ধোঁয়া সরাসরি আমার মুখে আসছিল। এতে আমি খুবই অস্বস্তিবোধ করছিলাম এবং আমার মতো আরও অনেকেই বিরক্ত হচ্ছিলেন। স্টেডিয়াম একটি পাবলিক প্লেস, যেখানে শিশুরাও খেলা দেখতে আসে। তাই সবার সুস্থ পরিবেশের কথা মাথায় রেখে ধূমপান বা মদ্যপান করতে হলে নির্দিষ্ট স্থানেই যান। অন্যের স্বাস্থ্যের প্রতি এবং সামাজিক পরিবেশের প্রতি সম্মান দেখানোটা আমাদের দায়িত্ব। নিয়ম মেনে চললে সকলের জন্যই খেলা দেখার অভিজ্ঞতাটা আরও সুন্দর হবে।

নিজের জন্য এবং সবার জন্য আরামদায়ক অভিজ্ঞতা

খেলা দেখতে যাওয়া মানেই লম্বা সময় ধরে এক জায়গায় বসে থাকা। তাই আরামদায়কভাবে এই সময়টা কাটানোটা খুব জরুরি, কেবল নিজের জন্য নয়, আশেপাশের সকলের জন্যও। আমি যখন স্টেডিয়ামে যাই, পোশাক এবং জুতো নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকি। কারণ, আরামদায়ক না হলে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকাটা বেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে। শুধু তা-ই নয়, খেলা দেখতে দেখতে যে ক্ষুধা বা তৃষ্ণা পায়, সেগুলোর জন্যও কিছু প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। কিন্তু এই খাবার বা পানীয় উপভোগ করার ক্ষেত্রেও কিছু শিষ্টাচার মেনে চলা প্রয়োজন। একবার আমি দেখেছিলাম, একজন দর্শক খুব উচ্চস্বরে চিপস খাচ্ছিলেন, যা খেলার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অন্য দর্শকদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল। এমন ছোট ছোট বিষয়গুলো কিন্তু আমাদের সকলের অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করে। তাই আসুন, আমরা নিজেদের আরামের পাশাপাশি অন্যদের আরামের কথাও ভাবি, এবং এই আনন্দময় অভিজ্ঞতাকে সকলের জন্য আরও সুখকর করে তুলি। একটু সচেতন হলেই এই বিষয়গুলো আমরা খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।

দীর্ঘক্ষণ বসার প্রস্তুতি: আরামদায়ক পোশাক ও জুতো

স্টেডিয়ামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে খেলা দেখতে হয়, তাই আরামদায়ক পোশাক এবং জুতো পরাটা অত্যন্ত জরুরি। আমি সব সময় এমন পোশাক পরিধান করি যা আমার শরীরের সাথে মানানসই এবং যার কারণে আমাকে অস্বস্তিতে পড়তে না হয়। টাইট পোশাক বা হাই হিল জুতো পরে গেলে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা হাঁটাহাঁটি করা বেশ কষ্টকর হতে পারে। বিশেষ করে, ভলিবল ম্যাচগুলো প্রায়ই বেশ দীর্ঘ হয় এবং এতে অনেক সময় অতিরিক্ত সেটও খেলা হয়। তাই আমার মতে, ঢিলেঢালা পোশাক এবং ফ্ল্যাট জুতো পরাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে করে আপনি আরামে বসতে পারবেন, প্রয়োজনে সহজে চলাফেরা করতে পারবেন এবং খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপনার মন ফুরফুরে থাকবে। নিজের আরামের কথা মাথায় রাখলে আপনি মনোযোগ দিয়ে খেলা উপভোগ করতে পারবেন, যা আপনার অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তুলবে।

খাবার ও পানীয়: নিয়ম মেনে উপভোগ করুন

স্টেডিয়ামে খাবার ও পানীয় নিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম থাকে, আর সেগুলো মেনে চলাটা খুবই জরুরি। সাধারণত, স্টেডিয়ামের ভেতরে নির্দিষ্ট কিছু খাবার ও পানীয় বিক্রি হয়, আর বাইরে থেকে নির্দিষ্ট কিছু জিনিস আনার অনুমতি থাকে। এই নিয়মগুলো জেনে রাখা উচিত। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একবার এক ম্যাচে আমার পাশে বসা একজন দর্শক এমন তীব্র গন্ধযুক্ত খাবার খাচ্ছিলেন যে আশেপাশের অনেকেই অস্বস্তিবোধ করছিলেন। এছাড়াও, খাবার খাওয়ার সময় বা পানীয় পান করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, যাতে আপনার পাশের সিটে বা অন্য কারো উপর কিছু না পড়ে যায়। বোতলের মুখ বন্ধ করে রাখা, বা খাবারের প্যাকেট সাবধানে খোলা – এই ছোট ছোট বিষয়গুলো কিন্তু একটা ভালো পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন, আপনার খাবার উপভোগ করাটা যেন অন্য কারো জন্য বিরক্তির কারণ না হয়।

খেলা শেষেও বজায় থাকুক আপনার সুরুচি

Advertisement

খেলা শেষ হয়ে গেলেও আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, বরং তখনো আমাদের কিছু ভদ্রতা বজায় রাখা উচিত। আমি দেখেছি, খেলা শেষের পর অনেকেই তাড়াহুড়ো করে স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন, যার ফলে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আবার অনেকে খেলোয়াড়দের প্রতি এমন আচরণ করেন যা শোভনীয় নয়। আমার মনে হয়, খেলা শুরুর মতো খেলা শেষের সময়টাও আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের শেষ মুহূর্তের আচরণই পুরো অভিজ্ঞতাকে একটি সুন্দর সমাপ্তি এনে দিতে পারে। মনে রাখবেন, আপনি একজন ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে শুধু খেলা দেখতে আসেন না, বরং একটি সমাজের অংশ হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করতে আসেন। তাই খেলা শেষেও যেন আমাদের সুরুচি এবং ভদ্রতা বজায় থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। এতে করে স্টেডিয়ামের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকে এবং সবাই নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে।

নির্বিঘ্নে প্রস্থান: তাড়াহুড়ো নয়, ধৈর্য ধরুন

খেলা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সবাই যেন একযোগে স্টেডিয়ামের গেটের দিকে ছুটতে শুরু করে। এটা খুবই বিপজ্জনক। এতে ভিড় বেড়ে যায় এবং ধাক্কাধাক্কির কারণে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, একবার এক ম্যাচে খেলা শেষ হওয়ার পর আমি একটু ধীরে ধীরে বের হওয়ার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পেছন থেকে এত চাপ আসছিল যে আমি পড়ে যাচ্ছিলাম আর একটুর জন্য গুরুতর আঘাত পাওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম। তাই খেলা শেষ হলে একটু ধৈর্য ধরুন। পাঁচ-দশ মিনিট অপেক্ষা করুন, ভিড় কিছুটা হালকা হয়ে যাবে। তারপর ধীরেসুস্থে স্টেডিয়াম থেকে বের হন। আপনার নিরাপত্তা আপনার নিজের হাতে। তাড়াহুড়ো করে কোনো লাভ হয় না, বরং এতে বিপদ বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। সবাই যদি একটু সচেতন হয়, তাহলে এই প্রস্থান প্রক্রিয়াটা অনেক মসৃণ হতে পারে।

খেলোয়াড়দের বিদায় জানানো: সম্মানসূচক অভ্যর্থনা

খেলা শেষ হওয়ার পর খেলোয়াড়রা যখন মাঠ ছাড়েন, তখন তাদের প্রতি আমাদের সম্মান জানানো উচিত, সে যেই দলেরই খেলোয়াড় হোক না কেন। তারা দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন আমাদের বিনোদনের জন্য। তাই তাদের ধন্যবাদ জানানো বা হাততালি দিয়ে বিদায় জানানোটা আমাদের কর্তব্য। আমার মনে আছে, একবার আমার প্রিয় দল হেরে গিয়েছিল, কিন্তু তারপরও যখন খেলোয়াড়রা মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন সবাই দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছিল। সেই দৃশ্যটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছিল। এটা তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা ও সম্মান প্রদর্শনের একটি সুন্দর উপায়। কোনো খেলোয়াড়কে ব্যক্তিগতভাবে লক্ষ্য করে বাজে মন্তব্য করা বা তাদের দিকে কিছু ছুড়ে মারাটা খুবই অনুচিত এবং অসভ্য আচরণ। তাদের পরাজয়ের সময়ও আমাদের ইতিবাচক মনোভাব তাদের মনে অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে।

글을마치며

Advertisement

বন্ধুরা, স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাওয়াটা শুধু খেলা দেখা নয়, এটা একটা সামাজিক অভিজ্ঞতা, একটা আবেগ ভাগ করে নেওয়ার মুহূর্ত। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমাদের ছোট ছোট সচেতনতা আর ভালো আচরণই পারে এই অভিজ্ঞতাকে আরও সুন্দর করে তুলতে। খেলোয়াড়দের প্রতি ভালোবাসা, সহ-দর্শকদের প্রতি সম্মান আর পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববোধ – এই সবকিছুই একটা দারুণ ম্যাচের অংশ। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই সুন্দর বন্ধনকে আরও মজবুত করি এবং খেলার আনন্দকে সকলের জন্য আরও মধুর করে তুলি। আপনার প্রতিটি উপস্থিতি যেন স্টেডিয়ামের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে, এই কামনাই করি!

알아দু면 쓸모 있는 정보

Advertisement

১. খেলা দেখতে যাওয়ার আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নিন, বিশেষ করে যদি খোলা মাঠে খেলা হয়। দরকার হলে ছাতা বা রেইনকোট নিতে ভুলবেন না।

২. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং ছোটখাটো স্ন্যাকস সাথে রাখুন, কারণ ভিড়ের কারণে খাবার কেনা কঠিন হতে পারে।

৩. স্টেডিয়ামে পৌঁছানোর জন্য গণপরিবহন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, এতে পার্কিং সমস্যা এড়ানো যাবে এবং যাতায়াত আরামদায়ক হবে।

৪. যদি বন্ধুদের সাথে যান, তাহলে ম্যাচের আগে একটি নির্দিষ্ট মিটিং পয়েন্ট ঠিক করে রাখুন যাতে ভিড়ে কেউ হারিয়ে না যায়।

৫. খেলা শেষে স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো না করে একটু সময় নিয়ে বের হন, এতে ভিড় এড়ানো যাবে এবং নিরাপদে ফিরতে পারবেন।

중요 사항 정리

আসুন, খেলা দেখতে গিয়ে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখি। প্রথমত, খেলোয়াড়দের প্রতি সব সময় ইতিবাচক মনোভাব রাখুন, হারলেও তাদের প্রশংসা করুন, কারণ তাদের প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। দ্বিতীয়ত, আপনার পাশের দর্শকদের ব্যক্তিগত জায়গার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন, অপ্রয়োজনীয় ধাক্কাধাক্কি বা উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। তৃতীয়ত, স্টেডিয়ামের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন, আপনার আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। আর সবশেষে, ছবি তোলা বা ভিডিও করার সময় ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যের খেলা দেখার অভিজ্ঞতায় যেন বাধা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো আমাদের সকলের জন্য একটি চমৎকার এবং স্মরণীয় অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

আহা, শীতকালীন উষ্ণতার মাঝে বা গ্রীষ্মের তাপদাহে ভলিবল খেলার উন্মাদনা তো দারুণ! স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে প্রিয় দলের প্রতিটি স্পাইক, প্রতিটি ডিফেন্স উপভোগ করার যে আনন্দ, তা এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। আমিও তো অনেক ম্যাচ দেখতে যাই, আর খেলার সেই টানটান উত্তেজনা আমাকে ভীষণ টানে। তবে একটা জিনিস আমি সব সময় খেয়াল করি, আমরা দর্শকরা যদি একটু সচেতন থাকি, তাহলে খেলা দেখার অভিজ্ঞতাটা আরও দারুণ হয়ে ওঠে। কখনও কখনও দেখি, আমাদের ছোট ছোট ভুলের কারণে খেলোয়াড়দের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে, আর অন্য দর্শকদেরও বিরক্তি বাড়ে।আসলে খেলার মাঠ শুধু খেলোয়াড়দের জন্যই নয়, আমাদের মতো দর্শকদের জন্যও একটা পবিত্র জায়গা। আমরা যদি সঠিক শিষ্টাচার মেনে চলি, তাহলে স্টেডিয়ামের পরিবেশটা আরও প্রাণবন্ত হয়, খেলোয়াড়রাও ভালো খেলতে উৎসাহিত হন। ব্যক্তিগতভাবে, আমি যখন মাঠে যাই, চেষ্টা করি কিছু নিয়ম মেনে চলতে, যাতে আমার মাধ্যমে কারোরই কোনো অসুবিধা না হয়। ভেবেছিলাম, আমার এই অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের সাথেও শেয়ার করি। কারণ, আপনার ছোট্ট একটি ভদ্রতা পুরো ম্যাচের মেজাজটাই বদলে দিতে পারে!

আপনিও কি চান, ভলিবল ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা আরও আনন্দময় হোক? গ্যালারিতে বসে কীভাবে খেলার মজা দ্বিগুণ করবেন, আর একই সাথে অন্য দর্শক ও খেলোয়াড়দের প্রতি সম্মান দেখাবেন, চলুন আজ সেই বিষয়ে কিছু দারুণ টিপস জেনে নিই। নিচে দেওয়া এই পোস্টেই বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

A1: আরে, খেলার মাঠে আবেগ তো থাকবেই! প্রিয় খেলোয়াড় বা দলের জন্য গলা ফাটাবো না, তা কি হয়? আমিও যখন মাঠে যাই, আমার দলের প্রতিটি পয়েন্টে আনন্দে লাফিয়ে উঠি। তবে হ্যাঁ, একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। উল্লাস করার সময় যেন তা মাত্রাতিরিক্ত না হয় বা অন্য দর্শকদের কানে যেন বিরক্তিকর না লাগে। বিশেষ করে, যখন খেলা চলছে, খেলোয়াড়রা সার্ভ করছেন বা মনোযোগ দিয়ে খেলছেন, তখন অপ্রয়োজনীয় চিৎকার করা উচিত নয়। এতে খেলোয়াড়দের মনোযোগ নষ্ট হতে পারে, আর অন্য দর্শকরাও বিরক্ত হতে পারেন। আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, বেশিরভাগ সময় হ্যান্ড-ক্ল্যাপ বা নির্দিষ্ট ছন্দে উল্লাস করাই সবচেয়ে ভালো। খেলার বিরতিতে, পয়েন্ট পাওয়ার পর বা সেট শেষে প্রাণ খুলে উল্লাস করুন – তাতে কোনো সমস্যা নেই! সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কখনোই কোনো খেলোয়াড়কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে খারাপ কথা বলা উচিত নয়। মনে রাখবেন, তারাও মানুষ, ভুল তাদেরও হতে পারে। আমাদের উৎসাহ তাদের ভালো খেলতে সাহায্য করে, গালিগালাজ নয়।

A2: হুম, এই প্রশ্নটা খুবই প্রাসঙ্গিক! অনেক সময় আমরা এমন কিছু করে ফেলি, যা হয়তো অন্যদের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়। আমি একবার একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের শেষ মুহূর্ত দেখছিলাম, হঠাৎ আমার সামনের সারির একজন উঠে দাঁড়িয়ে ফোন নিয়ে ছবি তুলতে শুরু করলো! বিশ্বাস করুন, সেই সময়টা আমার জন্য কতটা হতাশাজনক ছিল, তা বলে বোঝানো যাবে না। তাই আমি সবসময় বলি, ম্যাচের মাঝখানে, বিশেষ করে যখন খেলা চলছে, অযথা চলাফেরা না করাই ভালো। যদি একান্তই উঠতে হয়, তাহলে খেলার বিরতির জন্য অপেক্ষা করুন। আর ছবি তোলার ক্ষেত্রে, অবশ্যই ফ্ল্যাশ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। ফ্ল্যাশের আলো খেলোয়াড়দের চোখে সরাসরি পড়ে তাদের মনোযোগ নষ্ট করতে পারে। চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব নিরবে এবং অন্যের দৃষ্টিসীমা ব্লক না করে ছবি তুলতে। সেলফি তোলার সময়ও খেয়াল রাখুন, যেন আপনার পেছনের বা পাশের কেউ অসুবিধায় না পড়েন। সবাই তো সুন্দর মুহূর্তটা উপভোগ করতে এসেছে, তাই না?

A3: খাবার আর পানীয় ছাড়া কি আর খেলা দেখা জমে? আমি তো মাঠে গেলেই টুকিটাকি স্ন্যাকস আর জলের বোতল নিয়ে যাই। তবে এখানেও কিছু ভদ্রতা মেনে চলা খুব জরুরি। প্রথমত, স্টেডিয়ামের নিয়মকানুন জেনে নেওয়া ভালো – কিছু জায়গায় হয়তো বাইরের খাবার অনুমোদিত নয়। যদি অনুমতি থাকে, তাহলে এমন খাবার নিয়ে যান যা খেতে খুব বেশি নোংরা হয় না বা আশেপাশে ছড়াতে পারে না। যেমন, বাদাম বা চিপস খাওয়ার পর খোসা বা প্যাকেটগুলো নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। আমি প্রায়ই দেখি, অনেকে খাবারের প্যাকেট বা জলের বোতল যেখানে সেখানে ফেলে দেয়, যা দেখতে যেমন খারাপ লাগে, তেমনি মাঠের পরিবেশও নষ্ট করে। ভুল করেও কোনো খাবার বা পানীয় খেলার কোর্টের দিকে ছুঁড়ে ফেলবেন না, এটা মারাত্মক বিপজ্জনক হতে পারে! জল বা নরম পানীয় পান করার সময় সতর্ক থাকুন যেন আপনার পাশের কারো গায়ে ছিটকে না পড়ে। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে খেলা দেখার অভিজ্ঞতাটা সবার জন্যই অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক হয়, বিশ্বাস করুন!

📚 তথ্যসূত্র